ব্যাংকে সঞ্চিত অর্থ যে কেউ বিনিয়োগ করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে যাঁর অর্থসম্পদ বেশি, ব্যাংকে তাঁর বিনিয়োগও বেশি। জনগণের থেকে নেওয়া এই বিনিয়োগ ব্যাংকগুলোর কাছে আমানত। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সচল রাখতে ব্যাংকগুলো ওই আমানতের অর্থই বিভিন্ন খাতে ঋণ হিসেবে পুনর্বিনিয়োগ করে। এর জন্য নির্দিষ্ট হারে সুদ ধার্য করার পাশাপাশি তা পরিশোধে বেঁধে দেওয়া হয় সময়সীমাও।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী এই শর্ত মেনে সক্ষম যে কেউ এই ঋণ পাওয়ার অধিকার রাখেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় উল্টো চিত্র। যে কারও কাছ থেকে আমানতের জোগান পেতে ব্যাংকগুলোকে আগ্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে দেখা গেলেও ঋণ বিতরণের বেলায় থাকে চরম পক্ষপাতিত্ব; বিশেষ করে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে বাড়তি সুবিধা নেওয়ার অনৈতিক প্রবণতা ব্যাংকগুলোর সামগ্রিক ঋণের ৭৫ ভাগই ঠেলে দেওয়া হয়েছে বড়দের বা প্রভাবশালীদের দখলে। এর ফলে ছোটরা পাচ্ছেন ওই ঋণের ছিটেফোঁটা। সেটিও আবার সবার কপালে জুটছে না। দেশের ঋণ বিতরণ পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন বৈষম্যের চিত্রই ফুটে উঠেছে।