বৃষ্টিবিঘ্নিত কানপুর টেস্টে প্রথম দিন হয়েছে ৩৫ ওভার। পরের দুই দিন হয়নি একটি বলও। সেই টেস্টেই কিনা বাজেভাবে হারল বাংলাদেশ। পঞ্চম ও শেষ দিনে এক সেশন বাকি থাকতেই ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে ভারত। সঙ্গে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিল স্বাগতিকেরা। কানপুর টেস্টে ব্যক্তি ও দল পর্যায়ে যেসব রেকর্ড হলো, সেসব দেখে নেওয়া যাক সংখ্যায় সংখ্যায়—
৮
দুই দিন বৃষ্টির পেটে যাওয়ার পরও এ নিয়ে ৮ বার টেস্টে ফল এলো (টাইমলেস টেস্টসহ)।
১১
টেস্টে বেশিবার সিরিজ সেরা হওয়ার তালিকায় মুরালিধরনের পাশে বসলেন অশ্বিন। দুজনের এ কীর্তি সমান ১১ বার।
১৮
ঘরের মাটিতে ভারতের টানা (২০১৩-২৪) সিরিজ জয়ের সংখ্যা। এ তালিকায় দুইয়ে অস্ট্রেলিয়া (১৯৯৪-২০০০) জিতেছে ১০ বার।
১৮০
বেশি টেস্ট জয়ের সংখ্যায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে (১৭৯) টপকে চারে উঠে এলো ভারত (১৮০)। তাদের ওপরে আছে শুধু অস্ট্রেলিয়া (৪১৪), ইংল্যান্ড (৩৯৭) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১৮৩)।
৩১২
বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট জিততে দুই ইনিংস মিলিয়ে ভারত খেলেছে ৩১২ বল, যা কম বল খেলে জয়ের তালিকায় চতুর্থ স্থানে।
৯২৯
এ বছর টেস্টে জয়সওয়ালের রান। বছর ২২ হওয়ার আগে যা এক পঞ্জিকাবর্ষে ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ। ১৯৭১ সালে ৯১৮ রান নিয়ে এই কীর্তি আগে ছিল সুনীল গাভাস্কারের।
৪.৩৯
কানপুর টেস্টে রান রেট। ভারতের মাটিতে টেস্টে এটিই সর্বোচ্চ। এর আগেরে রেকর্ডটি হয়েছিল ১৯৮২ সাল, চেন্নাইয়ে ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের রান রেট ছিল ৪.১৩।
৭.৩৬
কানপুর টেস্টে দুই ইনিংসে ভারতের রান রেট, যা কোনো দলের পক্ষে সর্বোচ্চ। এর আগে রেকর্ডটি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার—৬.৮০, কেপটাউনে ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
১০০+
কানপুরে জয়সওয়ালের স্ট্রাইকরেট—১৪১.১৭ ও ১১৩.৩৩। ভারতে দুই ইনিংসে পঞ্চাশোর্ধ্ব রান করার পথে ১০০-এর বেশি স্ট্রাইরেটে ব্যাট করা দ্বিতীয় ব্যাটার তিনি। এই কীর্তিটি আগে ছিল শেওয়াগের, ২০১১ সালে দিল্লিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।