সার্টিফিকেটধারী শিক্ষিত একজন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি দায়িত্বশীল পদ থেকে অবসর নিয়েছেন। হঠাৎ খুব আনন্দ প্রকাশ করলেন তিনি। জানালেন, তার কাছে পাকিস্তানের চাঁদ-তারা পতাকা ছিল ‘ইসলামি আকিদার’ প্রতীক। তাই তিনি লাল-সবুজের পতাকায় খুশি ছিলেন না। ইদানীং পতাকা নিয়ে কিছু প্রশ্ন ওঠায় তার ভেতরের মেঘ কেটে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়টিতে তিনি প্রশান্তি অনুভব করছেন।
তিনি দেখেছেন, এ পর্বে পাকিস্তানের সঙ্গে নতুনভাবে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশে পাকিস্তানের জাতির পিতার মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। ১৯৪৮-এর ভাষা আন্দোলনের সময় থেকে বাঙালি যাকে উর্দু রাষ্ট্রভাষা হিসাবে চাপিয়ে দেওয়ার অপরাধে মানসিকভাবে বর্জন করেছিল। শোনা যায়, বাংলাদেশ বেতারে বড় কোনো যুক্তি ছাড়াই উর্দু প্রোগ্রাম চালু করার একটি গুঞ্জন শুরু হয়েছে। ‘হিন্দুর লেখা জাতীয় সংগীত’ বাতিল হলে এবং ‘হিন্দুর ডিজাইন করা জাতীয় পতাকা’র পরিবর্তন হলে তিনি যেন স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর মুক্তির স্বাদ পাবেন! মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং লাখ লাখ মানুষের আত্মত্যাগকে অস্বীকার করা-এসব ইস্যু নিয়ে বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে শক্ত প্রতিবাদ না থাকায় এ সরকারের প্রতি দমে দমে শুকরিয়া প্রকাশ করছেন এ ভদ্রলোক।