বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে মুহাম্মদ ইউনূসের জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের বিষয়টি নানা কারণেই গুরুত্বপূর্ণ। এই সফরে তিনি বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে— যাকে ‘ঐতিহাসিক ঘটনা’ বলে মনে করা হচ্ছে।
মনে রাখা দরকার, বাংলাদেশের যে কোনো সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি মৌলিক পার্থক্য হলো আন্তর্জাতিক খ্যাতি ও পরিচিতিতে। তিনি কোনো রাজনৈতিক নেতা না হলেও শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ হিসেবে সারাবিশ্বের মানুষ তাকে আলাদাভাবে চেনে। বিশেষ করে পৃথিবীর ‘সবচেয়ে ক্ষমতাধর’ দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা সর্বজনবিদিত। ফলে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তার এই অংশগ্রহণকে শুধু একজন সরকারপ্রধানের সফর হিসেবে বিবেচনা করার সুযোগ নেই। অন্তত বাংলাদেশে একটি গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত নতুন ধরনের সরকারের প্রধান হিসেবে অধ্যাপক ইউনূসের যুক্তরাষ্ট্র সফর আরও অনেক কারণেই তাৎপর্যপূর্ণ এবং ওই তাৎপর্য ও গুরুত্বের বিচারে রোহিঙ্গা সংকটের মতো একটি বিরাট সমস্যা মোকাবেলায় ব্যক্তি ইউনূসের ক্যরিশমা কোনো ভূমিকা রাখতে পারবে কিনা— তা নিয়েও জনপরিসরে আলোচনা আছে।