চাকরি, বদলি বাণিজ্য, মাদকের সিন্ডিকেট পরিচালনা, পাহাড় কাটা, মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানি করা, কোনো অপকর্মই বাদ ছিল না আলাউদ্দিন বাবু ও শফিকুল ইসলাম সোহাগের। এ দুজন পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আইনমন্ত্রী ও কসবা-আখাউড়ার সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের দুই ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ)। কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তারা। সম্পদের পাহাড় বানিয়েছেন।
বাবু আর সোহাগ এই দুই নামেই মুখর ছিল গত এক দশক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও আখাউড়া উপজেলা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছিল সোহাগ-বাবুর বন্দনা। তাদের খুশি করাই যেন ছিল সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্বাচনি এলাকার এ দুই উপজেলার সুযোগ-সুবিধাবাদী মানুষের কাজ।
আলাউদ্দিন বাবু একাধিকবার পরীক্ষা দিয়ে এসএসসি পাশ করেন বাবু। ২০১৩ সালে জীবিকার জন্য পাড়ি জমান বাহরাইনে। আনিসুল হক প্রথম বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি এবং মন্ত্রী হওয়ার পর কয়েক মাসের মধ্যে দেশে ফিরে আসেন বাবু। এরপর মন্ত্রীর বাসায় কাজের লোক হিসেবে যোগ দেন।
মন্ত্রীর গুলশান অফিসে যাওয়া-আসা ছিল এমন কয়েকজন জানান, ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মন্ত্রীর অফিসে চা পরিবেশন করতেন বাবু। পিএ হওয়ার আগে ৫শ থেকে ১ হাজার টাকাতেই তার হাসিমুখ দেখা গেছে; কিন্তু পরে আর বান্ডিল ছাড়া তুষ্ট করা যায়নি তাকে।