বেশি বেশি সহিংস সিনেমা দেখলে মানসিক স্বাস্থ্যের যে ক্ষতি হয়

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৪

অ্যাকশন সিনেমা বা ভিডিও গেম তরুণদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এসব সিনেমা বা ভিডিওতে দেখানো সহিংসতা সাময়িকভাবে বিনোদন দিলেও দীর্ঘ মেয়াদে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ায় এবং বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে।


মানুষ কীভাবে সহিংস হয়ে ওঠে জানতে মনোবিজ্ঞানে অনেক গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। অহিংস যোগাযোগের প্রবক্তা মার্কিন মনোবিজ্ঞানী মার্শাল রোজেনবার্গের মতে, মানুষ জন্মগতভাবে সহিংস নয়। মূলত চারপাশের পরিবেশ থেকে দেখে সহিংসতা শেখে মানুষ।


সোশ্যাল লার্নিং থিওরির প্রবক্তা কানাডিয়ান-আমেরিকান মনোবিজ্ঞানী অ্যালবার্ট বান্দুরা ষাটের দশকে শিশুদের আক্রমণাত্মক আচরণ নিয়ে একটি গবেষণা পরিচালনা করে বেশ হইচই ফেলে দেন। ‘বোবো ডল এক্সপেরিমেন্ট’ নামে পরিচিত সেই গবেষণায় মোট ৭২ শিশুকে তিনটি দলে ভাগ করা হয়। প্রথম দলের শিশুদের সামনে একজন তরুণ মডেল একটা বোবো ডলকে (মানুষ আকৃতির পুতুল) সহিংসভাবে শারীরিক আঘাত করে এবং মৌখিকভাবেও তিরস্কার করে। দ্বিতীয় দলের শিশুদের সামনে প্রাপ্তবয়স্ক মডেল বোবো ডলের সঙ্গে এই ধরনের কোনো আচরণ না করে স্বাভাবিকভাবেই শিশুদের সঙ্গে বিভিন্ন খেলনা দিয়ে খেলে। সবশেষ দলটির সামনে প্রাপ্তবয়স্ক কোনো মডেল উপস্থাপন করা হয় না। তিনটি দলেরই শিশুদেরকে ছেলে এবং মেয়ে উপদলে ভাগ করা হয়। ছেলেদের সামনে ছেলে মডেল এবং মেয়েদের সামনে মেয়ে মডেলকে উপস্থাপন করা হয়। পরে দেখা যায়, যে দলের শিশুরা তরুণ মডেলের মাধ্যমে বোবো ডলকে সহিংসভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হতে দেখেছে, তাদের মধ্যে অন্য দলগুলোর তুলনায় আক্রমণাত্মক আচরণ বেশি দেখা গেছে। এই পরীক্ষায় মেয়েশিশুর তুলনায় ছেলেশিশুদের মধ্যে আক্রমণাত্মক আচরণের প্রবণতা বেশি দেখা গেছে।



ভয়ংকর খুন ও মারামারি আছে, এমন অ্যাকশন বা থ্রিলার সিনেমা বা ভিডিও গেমে সহিংসতা দেখার যে ক্ষতিকর প্রভাব, তার সঙ্গে এই পরীক্ষণের ফলাফল সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। সাধারণত এ ধরনের সিনেমা বা ভিডিও গেমের কেন্দ্রীয় চরিত্রকে সহিংস আচরণ, যেমন মারপিট, গোলাগুলি, হামলা ইত্যাদির মাধ্যমে লক্ষ্য পূরণ বা দাবি আদায় করতে দেখা যায়। এ ধরনের সিনেমা বা ভিডিও গেম যারা পছন্দ করে ও নিয়মিত দেখে, তাদের মধ্যে অবচেতনভাবেই সহিংস আচরণ অনুকরণের প্রবণতা তৈরি হতে পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us