কয়েক দিন ধরে লেবাননে ইসরায়েলের ধারাবাহিক নির্বিচার হামলা হিজবুল্লাহর ওপর বড় ধরনের আঘাত। এর মধ্যে ছিল যোগাযোগের যন্ত্র পেজার উড়িয়ে দেওয়া এবং বৈরুতের উপকণ্ঠ দাহিয়েহতে বিমান হামলা। এসব হামলায় বহু বেসামরিক মানুষের পাশাপাশি অভিজাত রাদওয়ান ইউনিটের শীর্ষ কমান্ডারসহ কয়েক ডজন হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। গত সোমবার দক্ষিণ লেবানন এবং বেকা উপত্যকায় ব্যাপক বোমা হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ১ হাজারের বেশি বেসামরিক মানুষ হতাহত হয়।
হিজবুল্লাহর যোগাযোগ নেটওয়ার্কে ঢুকতে পারার এবং শীর্ষস্থানীয় সামরিক নেতাদের খতম করার ব্যাপারে ইসরায়েলের ক্ষমতা লেবাননের সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠীটির যুদ্ধক্ষেত্রে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করার সক্ষমতা নিয়ে গুরুতর সন্দেহ তুলে ধরেছে। আসলে এই গোয়েন্দা ব্যর্থতা যুদ্ধের সামগ্রিক পরিচালনার জন্য মাঠের ক্ষতির চেয়ে মারাত্মক হতে পারে। গত মে মাসে বিমান দুর্ঘটনায় ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির রহস্যজনক মৃত্যুর পর থেকে এসব ঘটনা বেড়েই চলেছে।