গত বছরের আগস্টের তুলনায় এ-বছর ( ২০২৪) ভারতের ২৪ শতাংশ রফতানি বাংলাদেশে কমেছে। এই তথ্য দিয়েছে ভারতীয় মিডিয়া ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। তারা ভারতীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্য-উপাত্ত নিয়ে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। গত বছর এই সময়ে ভারত বাংলাদেশে রফতানি করেছিলো ৯৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার। আর এ-বছর ২০২৪-এ তা কমে এসে দাঁড়িয়েছে ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলারে। শতকরা হিসেবে কমেছে মাত্র ২৮ শতাংশ।
একমাত্র তুলা রফতানি করে গত বছর ভারত বাংলাদেশ থেকে ১১১ কোটি ডলার নিয়েছে। এই তুলা খাতে তাদের রফতানি কমেছে মাত্র ১০ শতাংশ। ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের তথ্য জানাচ্ছে যে গত আগস্টে শেখ হাসিনার সরকারের উৎখাতে ছাত্রজনতার গণবিক্ষোভের ফলে তেমন কোনো সংকট হয়নি। দাবি করা হয়েছে যে তাদের তুলা ও গার্মেন্ট পণ্য আমদানি কমেছে মূলত বাংলাদেশ সরকারের বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে।
সত্যই যদি বৈদেশিক মুদ্রার অভাবই মূল কারণ হয়, তাহলে তা তো কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে না বাংলাদেশের। কারণ এর মধ্যেই রেমিটেন্সের স্রোত লেগেছে। প্রবাসীগণ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেমিটেন্স -অস্ত্র ব্যবহার করেছিলো প্রতিবাদি ছাত্র-জনতাদের ওপর গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে। ২০২৪-এর জুলাই মাসে মাত্র ১৬০ কোটি ডলারের রেমিটেন্স তারা পাঠিয়েছিলো। আর তার আগের মাসে পাঠিয়ে ছিলো ২৬৫ কোটিরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা।