মো. নাহিদ ইসলাম, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছিলেন অন্যতম সমন্বয়ক ও শেখ হাসিনা সরকার পতনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। সম্প্রতি বণিক বার্তার সঙ্গে সরকারের নানা বিষয় নিয়ে কথা হয় তার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাবিদিন ইব্রাহিম
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার এক মাস পেরিয়েছে। আন্দোলনে নিহত ও আহতদের তালিকা কতটুকু সম্পন্ন হয়েছে? তালিকা তৈরিতে দেরি হচ্ছে কেন?
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি এ বিষয়ে কাজ করছে। তালিকা তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন মূলত তালিকা অনুযায়ী প্রায় ৮০০ জন শহীদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ প্রক্রিয়া চলছে। একটি স্মরণসভার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। তবে আপাতত তা স্থগিত আছে এবং তালিকার কাজ সম্পন্ন হলে স্মরণসভার মাধ্যমে সব শহীদ পরিবারকে একত্রিত করা হবে। আহতদের পরিবেশ ও পরিস্থিতি অনুযায়ী কী পরিমাণ সহায়তা প্রদান করা যায় তা নির্ধারণ করা হবে। ফাউন্ডেশনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে এবং এ সপ্তাহ থেকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আহতদের সরাসরি আর্থিক সহায়তা প্রদান শুরু হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব পালনে কোন বিষয়গুলোকে আপনি চ্যালেঞ্জিং মনে করছেন?
১৬ বছরের যে অরাজকতা তা অল্প সময়ে সমাধান করা দুরূহ। নতুন করে সবকিছু গড়ে তুলতে হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে এখনো পূর্ণ কর্মতৎপরতা আসেনি। পুলিশের মনোবল এখনো সম্পূর্ণভাবে ফিরে আসেনি। ফলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। তবে সাধারণ মানুষ আমাদের সমর্থন দিয়ে নিজেরাই উদ্যোগ নিচ্ছেন। বিভিন্ন স্থানে তারা আমাদের সহায়তা করছেন। পুলিশ প্রশাসন সক্রিয় হয়ে গেলে আমাদের কাজের গতি আরো বাড়বে।