পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জাল চুক্তিনামা তৈরি করে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স থেকে ১৮৭ কোটি ৮৪ লাখ ১৫ হাজার ৯৬৬ টাকা আত্মসাৎ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস। দুই মেয়ে ফৌজিয়া কামরুন তানিয়া ও তাসনিয়া কামরুন অনিকা, ছেলে মোস্তফা কামরুস সোবহান, ছেলের স্ত্রী শাফিয়া সোবহান চৌধুরী, মেয়েজামাই মীর রাশেদ বিন আমান, নিকটাত্মীয় নূর-ই-হাফজা এবং নিজ স্ত্রী ফজলুতুননেসাকেও এ অর্থ লুটপাটে ব্যবহার করেছেন মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস।
অর্থ লোপাটের অভিযোগে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে প্রশাসক নিয়োগ দেয় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। তবে সোনালী লাইফের কর্তৃত্ব ফিরে পেতে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের অনুসারীরা আইডিআরএ ও প্রশাসকের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন। এমনকি আইডিআরএর সাবেক চেয়ারম্যানকে তার কার্যালয়ে দীর্ঘ সময় অবরুদ্ধও করে রাখেন। পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠলে সম্প্রতি সোনালী লাইফে দুজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়ে অন্তর্বর্তী বোর্ড গঠনের নির্দেশনা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।