আজ শনিবার আপনার দায়িত্বের এক মাস পূর্ণ হচ্ছে, এর মধ্যে ব্যাংক খাতের সংস্কারে কী কী উদ্যোগ নিয়েছেন?
আহসান এইচ মনসুর: কাজ কেবল শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত ১১টি ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করেছি। এর মধ্য দিয়ে একক গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণ থেকে ব্যাংক খাতকে মুক্ত করা গেছে। একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছি। এই টাস্কফোর্সের দ্বারা প্রতিটি ব্যাংকে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ বের করব। তারপর কীভাবে এই ক্ষতি কাটানো যায় এবং সম্পদ উদ্ধার করা যায়, সেগুলোর বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
দায়িত্ব নেওয়ার আগে ব্যাংক খাত নিয়ে আপনার যে ধারণা ছিল, দায়িত্ব গ্রহণের পর কী দেখেছেন?
আহসান এইচ মনসুর: যা ধারণা ছিল, তাই হয়েছে। খুবই নাজুক অবস্থায় রয়েছে দেশের ব্যাংক খাত।
ক্ষত অনেক গভীর। তবে উদ্ধার করা যাবে। সময় লাগবে। এই ক্ষত যেমন এক দিনে তৈরি হয়নি, তেমনি ক্ষত সারানোও এক দিনে সম্ভব নয়। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
পুনর্গঠিত ব্যাংকগুলোয় তারল্য সংকটের ব্যাপক সংকট দেখা যাচ্ছে। এ অবস্থায় কী ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছেন?
আহসান এইচ মনসুর: এসব ব্যাংকে তারল্য সরবরাহের চেষ্টা করছি। ব্যাংকগুলোর তারল্য প্রবাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের গ্যারান্টির মাধ্যমে এসব ব্যাংকে অন্য ব্যাংক থেকে অল্প অল্প করে তারল্য সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করছি। আর আমানতকারীরা যেন তাদের টাকা একসঙ্গে তুলে না নেয়, সেজন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আপাতত এসব ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তা নিয়েই চলবে। তবে এসব ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরবচ্ছিন্ন তত্ত্বাবধানেই থাকবে।
ব্যাংক মার্জারের বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেবেন কি?
আহসান এইচ মনসুর: ব্যাংক মার্জারের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে। এটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আগে হিসাবনিকাশের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোর প্রকৃত চিত্র বের করা হবে। এজন্য অডিটর নিয়োগ দেওয়া হবে। সেজন্য বাইরে থেকে অর্থায়নের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বাইরে থেকে আন্তর্জাতিক মানের অডিটর এনে অডিট করানো হবে। যেন কেউ কোনো প্রশ্ন তুলতে না পারে।