রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে বিসিবিতে নতুন সভাপতি হিসেবে যাত্রা শুরু করা ফারুক আহমেদ বোর্ডের দায়িত্ব নিয়েছেন ২৪ দিন হলো। তিন সপ্তাহেও এখনো পুনর্গঠিত হয়নি বিসিবির ২৩টি স্ট্যান্ডিং কমিটি (স্থায়ী কমিটি) ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
স্ট্যান্ডিং কমিটির পুনর্গঠন ছাড়াই স্থায়ী কমিটির দাপ্তরিক কাজগুলো চলছে মূলত ব্যবস্থাপকদের মাধ্যমে। তাঁরাই দাপ্তরিক কাজ শেষ করে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সরাসরি বিসিবি সভাপতির কাছে যাচ্ছেন। ক্রিকেট বোর্ডে এ দৃশ্যও কিছুটা বিরল। আগের বোর্ড সভাপতিরা দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেই যথেষ্ট প্রতাপশালী হতেন। দাপ্তরিক কাজে তাই হুটহাট সরাসরি তাঁদের কাছে যাওয়ার সুযোগ কমই ছিল বিসিবির বেশির ভাগ ম্যানেজারের। কাজের ক্ষেত্রে সাধারণত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাই (সিইও) হতেন বিসিবি সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগের সেতু।
বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী স্ট্যান্ডিং কমিটির কার্যক্রমের বাধ্যবাধকতা আছে। স্থায়ী কমিটি পুনর্গঠনে দেরি হওয়ায় প্রশ্নও উঠছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির একজন কাউন্সিলর কাল বললেন, ‘বোর্ড সভাপতি কেন স্ট্যান্ডিং কমিটি দিতে কালক্ষেপণ করছেন, তা বোধগম্য নয়। বিসিবিতে এমনিতেই রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে পরিচালনা পরিষদের পরিধি কমে গেছে। নানা কাজ ঝুলে আছে লোকবলের অভাবে। দ্রুতই নির্বাচন আহ্বান করে পরিচালনা পরিষদের পরিধি বাড়িয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটি পুনর্গঠনে হাত দেওয়া উচিত সভাপতির।’