স্ক্যান্ডিনেভীয় দেশ ফিনল্যান্ড। এখানে প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়েই শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রমটি পুরোপুরি মেধাভিত্তিক ও উচ্চ পর্যায়ের প্রশিক্ষণনির্ভর। শিক্ষকদের বেতনও অনেক বেশি। ফিনল্যান্ডের শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সেখানে স্থানীয় মুদ্রায় নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের একজন শিক্ষকের সর্বনিম্ন মাসিক বেতন প্রায় ৩ হাজার ৩১৮ ডলারের সমপরিমাণ, যা বাংলাদেশে সমপর্যায়ের একজন শিক্ষকের বেতনের তুলনায় প্রায় ২৮ গুণ। অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও অনেক বেশি। এ কারণে দেশটির সবচেয়ে মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায়ই আগ্রহ দেখা যায় সবচেয়ে বেশি।
বাংলাদেশেও ‘ফিনল্যান্ডের আদলে একই ধরনের শিক্ষাক্রম’ চালুর উদ্যোগ নিয়েছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। যদিও এ শিক্ষাক্রমকে কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের পূর্বশর্তগুলো উপেক্ষিতই থেকে যায়। নতুন শিক্ষাক্রমের জন্য প্রণীত পাঠ্যপুস্তক নিয়েও ছিল মানহীনতার অভিযোগ। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে প্রচুর অর্থ ব্যয় হলেও এর মান নিয়েও প্রশ্ন ছিল শুরু থেকেই। অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষে এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয় গত বছর। সে সময় নতুন শিক্ষাক্রম ও এর জন্য প্রণীত পাঠ্যপুস্তক নিয়ে প্রশ্ন তুলতে থাকেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। অভিযোগ ওঠে, এ শিক্ষাক্রম তৈরি করতে গিয়ে দেশের বাস্তব প্রেক্ষাপটকে বিবেচনায় নেয়া হয়নি। আবার নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিকে বইয়ের কনটেন্টও ছিল নিম্নমানের। যদিও তৎকালীন সরকারের দাবি ছিল, নতুন এ শিক্ষাক্রম তৈরি হয়েছে ফিনল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর শিক্ষাব্যবস্থার আদলে।