প্রেসক্রিপশন অথবা মেডিকেল সার্টিফিকেট থাকা সাপেক্ষে কিছু দেশ ভ্রমণকারীদের ৩০ দিনের ওষুধ সঙ্গে রাখতে দেয়। তাই বিদেশে ঘুরতে যাওয়ার প্রায় এক মাস আগে চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করে ভালোভাবে ধারণা নেওয়া উচিত। ৩০ দিনের বেশি ভ্রমণের ক্ষেত্রে জানার চেষ্টা করতে হবে কীভাবে ওষুধ সঙ্গে নেওয়া যেতে পারে। অনুমোদিত ওষুধের বাইরে অন্য ওষুধ সঙ্গে নেওয়া নিষেধ।
যেভাবে নেবেন
- ক্যারি অন ব্যাগে ওষুধের প্যাকেট রাখতে হবে।
- ওষুধের ব্যাগটি ভিন্নভাবে প্যাকেজিং করে একটি লেবেল দিয়ে রাখতে হবে।
- বোতল বা লেবেল, প্রেসক্রিপশন এবং চিকিৎসকের নোটের ছবি তুলে মোবাইল ফোনে বা ই-মেইলে রাখতে পারেন।
- তরল ওষুধ থাকলে তা পরিবহনে নিরাপত্তা প্রশাসনের ‘যুক্তিসংগত পরিমাণ’ অনুযায়ী নিতে হবে।
- প্রয়োজনে ওষুধ ঠান্ডা রাখার জন্য আইস প্যাকের মতো জিনিসও সঙ্গে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। সেগুলোও চেক করিয়ে নিন এয়ারপোর্টে।
- আইস প্যাক বা সিরিঞ্জের মতো চিকিৎসা অনুষঙ্গ থাকলে সেগুলোকে বাকি লাগেজ থেকে আলাদা রাখুন।
- সম্ভব হলে সঙ্গে শুধু প্রেসক্রিপশন রাখুন।
ভ্রমণের আগে নির্দিষ্ট দেশের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওষুধ বিষয়ে ধারণা নিন। মার্কিন সরকার তাদের ওষুধবিষয়ক তথ্যের একটি তালিকা দিয়ে রেখেছে ওয়েবসাইটে। যুক্তরাষ্ট্রে যাঁরা যাবেন, তাঁরা সেটি দেখে নিতে পারেন। আন্তর্জাতিক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ড একটি তালিকায় জানিয়েছে, কোন দেশে কোন ওষুধ সঙ্গে নেওয়া যাবে। তবে সেখানে সব দেশের কথা উল্লেখ নেই।