র্যাবের গুলিতে কিশোর লিমন হোসেনের পা হারানোর খবরটা ১৩ বছর আগে সারা দেশে ব্যপক আলোড়ন তুলেছিল। রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের প্রতীক হয়ে ওঠা লিমনের জীবনের ক্ষতটা এখনো তরতাজা।
কৃত্রিম পায়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হেঁটে এর মধ্যেই জীবনের অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েছেন লিমন। আইনে স্নাতকোত্তর শেষ করে এখন তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
তখন র্যাবের পক্ষ থেকে লিমনকে ‘বিরাট সন্ত্রাসী’ হিসেবে উপস্থাপন করে দুটি মামলা তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছিল। দুটি মামলাই আদালত পরে খারিজ করে দেয়।
ছেলের পা হারানোর বিচার দাবি করে লিমনের মা যে মামলাটি করেছিলেন, তা এখনো চলছে। বিচার পেতে যুদ্ধ করে চলেছেন লিমন আর তার মা হেনোয়ারা বেগম।
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর যখন রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন নিয়ে খোলামেলা সমালোচনা চলছে, তখন লিমনের প্রশ্ন, “এবার কী পাব পা হারানোর বিচার?”
২০১১ সালের ২৩ মার্চ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামে বরিশাল র্যাব-৮ এর সদস্যরা লিমনকে গুলি করে।