আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। মাঠে নেমেছেন দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ডেমোক্র্যাট নেত্রী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান নেতা সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্যেই গুঞ্জন উঠেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গোপনে হস্তক্ষেপ করতে চেষ্টা শুরু করেছে রাশিয়া।
গত শুক্রবার মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ভোটারদের ওপর প্রভাব ফেলতে চাইছে রাশিয়া। এ জন্য তারা এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের কাজে লাগানো শুরু করেছে। এটি রাশিয়ার বহুল প্রচলিত পন্থা।
জ্যেষ্ঠ এই গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক্ষেত্রে মনস্তাত্ত্বিক একটা খেলা খেলে রাশিয়া। বিভিন্ন বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এতে মার্কিনদের মধ্যে ক্ষোভ বেড়ে যায়, সামাজিক ভাঙন শুরু হয় এবং সরকারের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা ইস্যুত বিভিন্ন প্রশ্ন আসতে থাকে।
এর আগে গত জুলাইয়েও এমন কথাই বলেছিলেন আরেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা। তিনি তখন রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা এ ধরনের কৌশল দমাতে কাজ করছি। আমাদের দেশের মানুষদের বুঝতে হবে, তারা অনলাইনে যা পড়ছে তা বাইরের দেশের প্রচারণা হতে পারে। এসব প্রচারণায় শুধু বিদেশিরা যুক্ত থাকবেন এমন নয়। এতে মার্কিন নাগরিকও জড়িত থাকতে পারেন।’