প্রশাসনের যোগসাজশে প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তি দিনের পর দিন নদী থেকে বালু উত্তোলন করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। এতে নদীতে বিলীন হয়েছে রাষ্ট্রের প্রায় ৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মুছাপুর ক্লোজারের ২৩ ভেন্ট রেগুলেটর। আশপাশে প্রবল নদীভাঙনে এরই মধ্যে ভেঙে তলিয়ে গেছে শতাধিক বাড়িঘর।
পাশাপাশি দেবে গেছে ৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত জোরারগঞ্জ সড়কের ছোটধলি ব্রিজও। বন্ধ হয়ে গেছে নোয়াখালী-ফেনী-চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ সড়কের যাতায়াত। চরম ক্ষতির শিকার নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা অঞ্চলের মানুষ। হুমকিতে ৩০ হাজার হেক্টর জমির চাষাবাদ। এতে এ অঞ্চলের ক্ষতি হবে ১৭শ কোটি টাকা।
গত ৪ সেপ্টেম্বর ছোট ফেনী নদী ও তার আশপাশের এলাকা ঘুরে নদীর ভাঙনের ভয়ংকর চিত্র দেখা যায়। সামনে এসেছে মানুষের হাহাকার। নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে সড়ক, বাড়িঘর মার্কেটসহ বিশাল এলাকা।
ছোট ফেনী নদীটির একপাশে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা। অপরপাশে ফেনীর সোনাগাজী। উপজেলার সংযোগ ও যাতায়াতের জন্য সোনাপুর-জোরারগঞ্জ সড়কের ছোটধলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয় ২০১৮ সালে। নিচের বালু সরে যাওয়ায় এরই মধ্যে সেটিও দেবে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে যাতায়াত। এদিকে, ছোটধলি ব্রিজের গোড়ায় এলাকাবাসী ব্যক্তি উদ্যোগে জিও ব্যাগ ভরে বালু ফেলছেন। চাইছেন রক্ষা হোক তাদের যোগাযোগের এই ব্রিজটি। কিন্তু কাজ হচ্ছে না। এক বিরাট ক্ষত নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে রাষ্ট্রের অর্থে নির্মিত সেতুটি।