ঢাকার আগারগাঁওয়ের একটি সেলুনের ‘বিহারী কর্মী’ জসীম থাকেন বিহারী ক্যাম্প নামে পরিচিত মোহাম্মদপুরের জেনিভা ক্যাম্পে। ইদানীং তিনি কাজে আসছেন বিলম্বে।
জসীমের ভাষ্য, “রাতভর এলাকায় মারামারি, গোলাগুলি চলতাছে। ঘুমই নাই। ক্যামনে দিনে জাইগা থাকি, আল্লাহই জানে।”
জেনিভা ক্যাম্পের মাদক ব্যবসার দখল নিয়ে দ্বন্দ্ব বহুদিনের। তবে দেশের অস্থিরতার সময়- গেল জুলাই থেকে প্রাণক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়েছে সেখানকার দুটি পক্ষ।
রোজই তাদের কেউ না কেউ হামলার শিকার হচ্ছেন। লাঠিসোঁটা হাতে মিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, মারধর-গোলাগুলি নিত্য ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জেনিভা ক্যাম্পের একেকটা ঘরের আয়তন সব মিলিয়ে ১০০ থেকে ১২০ বর্গফুটের মত বা তার চেয়ে একটু বেশিও আছে কোনোটা। কোনো কোনো ঘরে তিন প্রজন্মের সবাই একসঙ্গে থাকেন। ঘরের খাটে একদল আর খাটের নিচে আরেকদল ঘুমায়। ঘিঞ্জি পরিবেশ, সুপেয় পানি আর শৌচাগারের সংকটও আছে। এর মধ্যেই মাদক কারবারিদের সংঘাত তাদের জীবনকে বিভীষিকাময় করে তুলেছে।
বাসিন্দারা বলছেন, ক্যাম্পে মোটাদাগে মাদক নিয়ন্ত্রণ করে তিনটি পক্ষ, যারা দুই ভাগ হয়ে এই সংঘাতে জড়াচ্ছেন। তাদের মধ্যে এলাকার ভাগাভাগিও আছে। এক পক্ষের লোক আরেক পক্ষের এলাকায় ঢুকলেই হচ্ছে হামলা; এরপর তা গড়াচ্ছে সংঘর্ষে। এমনটা চলছে গত ছয়মাস ধরে।