ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সফল হওয়ার পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে তিন দিন দেরি হয়েছিল। এ অবস্থায় বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছু বাড়তি অবনতি ঘটে। গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রসমাজ ও সেনাবাহিনী সচেষ্ট থাকলেও তাতে আশানুরূপ কাজ হয়নি। নজিরবিহীন আন্দোলনে দীর্ঘকাল ক্ষমতায় থাকা একটি স্বেচ্ছাচারী সরকারের পতন হলে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তাতে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা কঠিনও বটে।
এর মধ্যে আবার পুলিশ গিয়েছিল লাপাত্তা হয়ে। বেসামরিক প্রশাসনও ঠিকমতো কাজ করছিল না। গোটা প্রশাসনই ছিল ভয়াবহ দলীয়করণের শিকার। এর ভেতর থেকে বেরিয়ে এসে সেনাবাহিনীই কেবল ভিন্ন অবস্থান নিতে সক্ষম হয়। তারা এই মুহূর্তে পুলিশের অনেক দায়িত্বও পালন করছে। শেখ হাসিনা সরকারের রেখে যাওয়া পুলিশকে তো সক্রিয় করা যায়নি এখনো!