রাজধানীর পিলখানায় ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে নিজের ভাষ্য তুলে ধরেছেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) মইন ইউ আহমেদ।
তিনি বলেন, 'বিডিআর বিদ্রোহের কিছু প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবার তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। আমিও আমার ভূমিকা আপনাদের জানাতে চাই।'
'বিডিআর বিদ্রোহ দমনে সেনাবাহিনী তথা সেনা প্রধানের ভূমিকা অনেকের জানা নেই এবং তারা নেতিবাচক ধারণা পোষণ করছেন। বিদ্রোহের ১৫ বছর ধরে আমরা শুধু বিগত সরকারের কথা শুনে গেছি এবং প্রকৃত ঘটনার অনেক কিছুই আমাদের জানা নেই এবং জনগণও জানতে পারেনি,' বলেন তিনি।
বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে তিনি বই লিখেছেন এবং তা শিগগিরই প্রকাশিত হবে বলেও ভিডিও বার্তায় উল্লেখ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অবস্থানরত মইন ইউ আহমেদ গত বৃহস্পতিবার তার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে নিজের ভাষ্য তুলে ধরেন। গত ২৫ আগস্ট ইউটিউব চ্যানেলটি খোলা হয়। সেখানে ২৯ মিনিটের ভিডিও বার্তায় তিনি সেদিনের ঘটনা তুলে ধরেন।
মইন ইউ আহমেদ বলেন, '২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং ছিল—জিএসপিসি মিটিং। এই মিটিংয়ের মাধ্যমে সেনাবাহিনী সিদ্ধান্ত নেয় আগামী বছরে কী কী জিনিস প্রকিউর করবে। আমি জিএসপিসি মিটিংয়ে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। আনুমানিক সকাল পৌনে ৯টায় সিজিএস লেফটেন্যান্ট জেনারেল সিনা ইবনে জামালী আমার অফিসে আসেন এবং বলেন, আমাদের কাছে কিছু ৮১ মিলিমিটার মর্টার আছে, যেটা সেনাবাহিনী ব্যবহার করে না। এটার গুদামজাত ও রক্ষাণাবেক্ষণ আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে। বিডিআর ৮১ মিলিমিটার মর্টার ব্যবহার করে তারা যদি হেড ট্রান্সফার করে নিয়ে যায়, আমাদের অনেক উপকার হবে।'