বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর চট্টগ্রামের রাজনীতিতে পটপরিবর্তন এসেছে। দীর্ঘ ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে চলে গেছেন। এই সুযোগে তাঁদের দখলে থাকা বিভিন্ন হাটবাজার, ঘাট ও প্রতিষ্ঠানে বিএনপির নেতা-কর্মী ও অনুসারীরা দখলে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
নেতা-কর্মীদের এই দখলবাজির সঙ্গে অন্তঃকোন্দলেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশেষ করে ব্যাংক লুটকারী চট্টগ্রামের শিল্পগ্রুপ এস আলমের ডেরা থেকে ১৪টি বিলাসবহুল গাড়ি সরিয়ে নিতে সহযোগিতা করায় দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির তিন প্রভাবশালী নেতাকে বহিষ্কার ও কমিটি স্থগিত করা হয়েছে। উচ্চপর্যায়ের নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে দলটিতে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের দলের অস্থিরতা নিয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপিও বেশ চিন্তিত। মহানগর বিএনপিতে নেতৃত্বের দুর্বলতা রয়েছে। যদিও সম্প্রতি মাত্র দুজনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে নগর বিএনপিতে। অপর দিকে এস আলমের ডেরা থেকে বিলাসবহুল গাড়ি বের করতে সহযোগিতা করায় দক্ষিণ জেলা বিএনপির পুরো কমিটিই স্থগিত করেছে কেন্দ্র। আর উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি থাকলেও কোন্দল এবং আহ্বায়কের বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতার বাসায় যাওয়ায় মিরসরাই বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে তুমুল ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।