স্বাস্থ্য খাত দেশের সর্বাধিক দুর্দশাগ্রস্ত খাতগুলোর একটি। এটি একটি বহুমাত্রিক খাত যার একদিকে রয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল; অন্যদিকে রয়েছে ওষুধ এবং তার সহায়ক শিল্প ও চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরির শিল্প।
আবার রয়েছে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, নার্সিং কলেজসহ বিভিন্ন মেডিকেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ খাতের সেবার ধরনও বিস্তৃত—প্রমোটিভ, প্রিভেন্টিভ, কিউরেটিভ ও প্যালিয়েটিভ।
আবার সেবার ধারাও বহুমাত্রিক—অ্যালোপ্যাথিক, হোমিওপ্যাথিক, আয়ুর্বেদিক ও ইউনানি। বহু বিস্তৃত এ খাতের পরতে পরতে রয়েছে বহুমুখী সমস্যা। বলতে গেলে পুরোটাই পচা।
স্বাস্থ্য খাতের সমস্যার মূলে রয়েছে সরকারি ও বেসরকারি খাতে যত্রতত্র মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভেঙে দুই টুকরা করা, স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা থেকে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি ব্যবস্থাপনা আলাদা করা, বেসরকারি খাতে ব্যাঙের ছাতার মতো ক্লিনিক–ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেওয়া, ব্যবস্থাপনা ত্রুটি, স্বাস্থ্যসেবার গুণগত মান নিয়ন্ত্রণের জন্য মাঠ প্রশাসনকে শক্তিশালী না করা, ওষুধের গুণগত মান রক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করাসহ নানা খামখেয়ালিপনা ও ভুল নীতি।