শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জোরালো দাবিতে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় সৃজনশীল পদ্ধতি ফিরে আসছে। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ কারণে তারা নতুন কারিকুলাম থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সময় স্বল্পতায় চলতি শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই পরিবর্তন করা সম্ভন নয়। বছর শেষে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতিতে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল পদ্ধতির পাঠ্যবই দেওয়া হবে। গত বছর তিনটি শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়। চলতি বছর আরও চারটি নতুন শ্রেণিতে এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। নতুন কারিকুলামে পরীক্ষার ধরন ও নম্বর বণ্টনসহ নানা অসঙ্গতির কারণে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। একের পর এক একাডেমিক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া ফিরছে নবম শ্রেণির বিভাগ বিভাজনও। আগের মতো বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগ চালু হচ্ছে। চলতি শিক্ষাবর্ষের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিভাজন না থাকলেও দশম শ্রেণিতে তাদের সুনির্দিষ্ট বিভাগ নিয়ে এসএসসি পরীক্ষা দিতে। এতে পড়াশোনায় এক ধরনের ঘাটতি থাকার আশঙ্কা রয়েছে।
জানা যায়, নতুন শিক্ষাক্রমে বিভাগ বিভাজন (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) নেই। ফলে নবম শ্রেণিতেও অভিন্ন ১০টি পাঠ্যবই পড়ছে সব শিক্ষার্থী। তবে তারা যখন দশম শ্রেণিতে উঠবে, তখন বিভাগ বিভাজনের সুযোগ পাবে। তারা আগের নিয়মে যেন ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে, সেজন্য সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচিও প্রণয়ন করা হবে।