ডলারের বাজারে কোনো অস্থিরতা নেই

বণিক বার্তা প্রকাশিত: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২১

দেশে ডলারের বাজারে এ মুহূর্তে কোনো অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে না। স্থিতিশীল হয়ে এসেছে মুদ্রাটির বিনিময় হার। ব্যাংক বা কার্ব মার্কেটে ডলারের সংকট নেই। ব্যাংকে রেমিট্যান্স পাঠালে প্রবাসীরা প্রণোদনাসহ ডলারপ্রতি ১২৩ টাকা পাচ্ছেন, যেখানে খুচরা বাজারে মিলছে ১২১-১২২ টাকায়। হুন্ডির চাহিদা কমায় খুচরা বাজারে ডলারের বিনিময় হার নিম্নমুখী বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।


যদিও দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশে অস্থির ছিল বৈদেশিক মুদ্রার বাজার। ২০২২ সালের শুরুতে প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ৮৪ টাকা। সংকট তীব্র হয়ে ওঠায় বিনিময় হার বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। গত আড়াই বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ঘটেছে ৪২ শতাংশেরও বেশি। ডলারের দর স্থিতিশীল করতে গত মে মাসে ‘ক্রলিং পেগ’ নীতি গ্রহণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পরও সমাধান মেলেনি, ব্যাংকের ঘোষিত দরের সঙ্গে কার্ব মার্কেটে ডলারের দরের ব্যবধান ছিল ৩-১০ টাকা। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ডলারের বাজার ক্রমেই স্থিতিশীল হয়ে এসেছে।


সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রধান শ্রমবাজারগুলোয় হুন্ডির যে বাজার আছে, সেটির চাহিদা তৈরি হয় বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকে। বর্তমানে অভ্যন্তরীণ বাজারে হুন্ডির চাহিদায় বড় পতন হয়েছে। হুন্ডির বাজারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরাচালানের যোগসূত্র আছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেটেও চিড় ধরেছে। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শক্ত অবস্থানের কারণে সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালান কমেছে। এ কারণে কার্ব মার্কেটে ডলারের চাহিদায় পতন হয়েছে। আমদানির ঋণপত্র (এলসি) কমে যাওয়ার প্রভাবে ব্যাংকেও ডলারের চাহিদা কমে গেছে।



বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত মে মাসে দেশের আমদানি ছিল ৫১৮ কোটি ডলার। একই মাসে ৩৬৭ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। আর রেমিট্যান্স হিসেবে দেশে এসেছে ২২৫ কোটি ডলার। অর্থাৎ ওই মাসে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয়ের চেয়ে আয় বেশি ছিল। এ ধারাবাহিকতা বর্তমানেও অব্যাহত রয়েছে। আগস্টে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৩৯ শতাংশ। গত মাসে প্রবাসীরা ২২২ কোটি ১৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us