টানা বৃষ্টি আর ভারতের উজান থেকে নেমে আসা বানের পানি বাড়িঘরে উঠতে শুরু করলে সেদিন পরিবার-পরিজন নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটতে শুরু করে ফেনীর মানুষজন; ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও সদর, দাগনভূঞা ও সোনাগাজী উপজেলার সেই পানি সরার কোনো লক্ষণ নেই।
অন্য চার উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্র থেকে মানুষজন বাড়ির দিকে গেলেও সদর ও দাগনভূঞা উপজেলার বানভাসী মানুষ এখনও আশ্রয়কেন্দ্রেই চরম ভোগান্তি নিয়ে দিন পার করছেন। এর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত নানা রোগ।
ত্রাণের ওপর ভরসা করে সেই ২১ অগাস্ট থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে খেয়ে না খেয়ে দিন যাচ্ছে অন্তত ১৫ হাজার মানুষের। এছাড়া গ্রামীণ জনপদে যারা আটকা পড়েছেন তারা না পারছেন বাইরে যেতে, না পারছেন পর্যাপ্ত খাবার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে।
এদিকে ১৩ দিন ধরে পানিবন্দি ফেনীতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ জনে। সন্ধ্যায় নতুন করে আরও দুইজনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
পাউবো বলছে, দাগনভূঞার মুছাপুর রেগুলেটর ভেঙে যাওয়ায় পানি নামতে পারছে না; পানি সরতে আরও সময় লাগবে।
সোমবার বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সদর উপজেলার ধলিয়া ও লেমুয়া ইউনিয়নের অনেক গ্রামে এখনও পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে মানুষজন। ঘরবাড়িতে পানি থাকায় উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে তিন হাজারের মতো লোকজন রয়েছেন। বাড়ির সামনে পানি থাকায় যাতায়াতে কলাগাছের ভেলা ব্যবহার করতে দেখা গেছে বাসিন্দাদের।