বিদেশে পাচার করা টাকা ফেরাতে জোরালো উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও অর্থ উপদেষ্টা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠকের সময় পাচার করা টাকা ফেরাতে সহায়তা চাইছেন। বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে অর্থসম্পদ সম্পর্কে জানতে বিভিন্ন দেশে চিঠি দেওয়া শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী সাবেক ৮ মন্ত্রী, ৯ সংসদ-সদস্য (এমপি) এবং তাদের স্ত্রী, সন্তান ও সহযোগীদের নামে অর্থসম্পদের তথ্য চাওয়া হয়েছে।
এছাড়াও ৫টি বড় ব্যবসায়িক গ্রুপের নামে বিদেশে থাকা অর্থসম্পদের তথ্যও চাওয়া হয়েছে। এছাড়া আরও রাজনৈতিক নেতা, ব্যাংকার, আমলা, পুলিশ কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী-তাদের গ্রুপের নামও আছে অর্থসম্পদের তথ্য চাওয়ার তালিকায়। দেশে তদন্ত শেষে পর্যায়ক্রমে বিদেশে সম্পদের তথ্য চেয়ে চিঠি দেওয়া হবে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। টানা ১৫ বছরে তিনটি ভোটারবিহীন নির্বাচন করে সরকার ক্ষমতায় টিকে ছিল। ওই সময়ে দেশের আর্থিকসহ প্রায় সব খাতেই নজিরবিহীন লুটপাট করে টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এ কাজে সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী, সংসদ-সদস্য (এমপি), আমলা ও ব্যবসায়ীরা ছিলেন সামনের সারিতে। যে কারণে পতনের পর সরকারের মন্ত্রী, সংসদ-সদস্য ও সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীদের একটি অংশ পালিয়ে গেছে। ওইসব ব্যক্তি এবং তাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে টাকা পাচারের তথ্য অনুসন্ধান চলছে।