সিন্ডিকেটমুক্ত লাইটারেজ পরিবহন, কমছে উৎপাদন খরচ-পণ্যের দাম

জাগো নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ৩০ আগস্ট ২০২৪, ১৩:২২

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা কার্গোপণ্য পরিবহনে লাইটারেজ ব্যবসায় ভেঙেছে দীর্ঘদিনের সিন্ডিকেট। উন্মুক্ত পণ্য পরিবহনের কারণে ভাড়া কমেছে ২০-৩০ শতাংশ। ফলে কমছে উৎপাদন খরচ। লাভবান হচ্ছেন ভোক্তা। তবে এ সেক্টরের সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা বলছেন, উন্মুক্তভাবে বাল্কপণ্য পরিবহনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন লাইটারেজ মালিকরা।


চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা যায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পণ্য নিয়ে আসা জাহাজের প্রায় ৪৫ শতাংশই খোলা পণ্যবাহী। এগুলোতে বাল্ক ক্যারিয়ার বলা হয়। বাল্ক ক্যারিয়ারে চাল, ডাল, গম, ছোলা, চিনি, সিমেন্ট ক্লিংকার, কয়লা, পাথর, স্ক্র্যাপসহ নানান পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। পরে বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থান করা জাহাজ থেকে এসব পণ্যের প্রায় তিন চতুর্থাংশ লাইটারেজের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবহন করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর থেকে দেশের ৩৪টি নৌ রুট রয়েছে। এসব রুটে প্রায় আড়াই হাজার লাইটারেজ জাহাজ চলাচল করে।



সূত্র জানায়, সরকারি কোনো নীতিমালা না থাকলেও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বাল্ক পণ্য পরিবহন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল (ডব্লিউটিসি) গঠন করে লাইটারেজ মালিকদের প্রভাবশালী কয়েকটি সিন্ডিকেট। এসব সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতো সরকারদলীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা। দীর্ঘ সময় ধরে এসব সিন্ডিকেটের হাতে বন্দি ছিল বন্দরকেন্দ্রিক বাল্কপণ্য পরিবহন। ওই সিন্ডিকেটই পণ্যের লাইটারিংয়ের পরিবহন ব্যয় নির্ধারণ করে দিতো। এতে আমদানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হতেন। বেড়ে যেত পণ্যের পরিবহন ব্যয়।


২০২৩ সালে লাইটার মালিকদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হলে ভেঙে যায় ডব্লিউটিসি। এরপর নৌ-বাণিজ্য দপ্তরকে (এমএমডি) লাইটারেজ চলাচল নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দিয়ে বাংলাদেশ ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন সেল (বিডব্লিউটিসিসি) গঠন করে দেয় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়। এরপরেও জাহাজ মালিকদের মতনৈক্যের কারণে বিডব্লিউটিসিসির কার্যক্রম শুরু করা যায়নি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us