আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের কয়েক দিনের মধ্যেই সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের অপসারণ করা হয়। তবে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানরা পদে থাকলেও আওয়ামী লীগ মনোনীত অধিকাংশ চেয়ারম্যান আত্মগোপনে রয়েছেন। এর প্রভাব পড়েছে বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে। দুর্যোগের এই সময়ে তাঁদের পাশে পাচ্ছে না বন্যাদুর্গতরা। আবার তাঁদের অনুপস্থিতিতে ব্যাহত হয় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম। ত্রাণ বিতরণেও দেখা দেয় সমন্বয়হীনতা।
বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের অভিযোগ, চেয়ারম্যান না থাকায় ইউপি সদস্যদের কাছে গিয়েও তাঁরা ত্রাণ পাচ্ছেন না। তবে প্রশাসন বলছে, প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার যেন সহযোগিতা পায়, সেটা নিশ্চিতে তারা কাজ করছে।
ফেনীতে ত্রাণ বিতরণে সমন্বয়হীনতা
উজানের পানি ও ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা ভয়াবহ রূপ ধারণ করে ফেনীতে। এক সপ্তাহের বেশি সময় জেলার ছয় উপজেলার প্রায় ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। এ সময় চরম খাদ্যসংকট মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে পর্যাপ্ত ত্রাণ সরবরাহ করা হলেও সমন্বয়হীনতার কারণে দুর্গম বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয় না করে অনেক সংগঠন ত্রাণ বিতরণ করায় সঠিক বণ্টন হচ্ছে না দাবি অনেকের।
জেলা প্রশাসন বলছে, চাহিদা অনুযায়ী এলাকাভিত্তিক সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ বিতরণের জন্য বেসরকারিভাবে আগ্রহী ব্যক্তিদের সুনির্দিষ্ট সংগঠনের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণের বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে জানাতে বলা হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন সংগঠন নিজ উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ করছে।