অফিস তো কেবল কাজ করার জায়গাই নয়, বরং সামাজিক যোগাযোগ রক্ষার একটি বড় পরিসরও। তাইতো অফিসকে বলা হয় ‘দ্বিতীয় পরিবার’। আপনার কর্মক্ষেত্রে যদি কাজ করার ইতিবাচক পরিবেশ থাকে তবে অফিস কর্তৃপক্ষ ও আপনি উভয়েই সমৃদ্ধ হবেন। তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, অধিকাংশ অফিসে সেই পরিবেশ থাকে না। কর্মীরা একে অন্যকে ঈর্ষা করেন এমন অফিসের সংখ্যা কম নয়। বিশেষ করে, যে কর্মীর দক্ষতা যত বেশি, সে তত বেশি ঈর্ষার শিকার হতে পারে। আপনি কি এমন কেউ যিনি সহকর্মীর ঈর্ষার শিকার? চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক করণীয়-
পেশাদার থাকুন
ঈর্ষার মুখোমুখি হলে সরাসরি সমস্যাটির সমাধান করাটাই সঠিক মনে হতে পারে। তবে সব সময় পেশাদার থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গসিপ বা প্রতিশোধ নেওয়া এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। এর পরিবর্তে নেতিবাচক চিন্তা এড়িয়ে নিজের কাজের ওপর মনোযোগ দিন। পেশাদারিত্ব বজায় রেখে মানসিক পরিপক্কতা প্রদর্শন করুন এবং অন্যদের জন্য একটি ইতিবাচক উদাহরণ স্থাপন করুন।
সহানুভূতি থাকুক
বেশিরভাগ সময় আইডেন্টিটি ক্রাইসিস বা হীনমন্যতা থেকে ঈর্ষার উদ্রেক হয়। তাই প্রথমে আপনার সহকর্মীর আবেগের অন্তর্নিহিত কারণ বোঝার চেষ্টা করুন। সে কি চাকরির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন, নাকি আপনার কৃতিত্বের কারণে হীনমন্য বোধ করে? তার অনুভূতি বুঝুন এবং সহানুভূতিশীল হোন। এটি সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে। কখনো কখনো কেবল তার কথাগুলো মন দিয়ে শুনলেও ঈর্ষা দূর হয়ে যেতে পারে।