সরকারি বেতনকাঠামো অনুযায়ী একজন অফিস সহায়ক বা পিয়ন ২০তম গ্রেডের কর্মচারী। অন্যদিকে সহকারী ব্যবস্থাপকের পদটি নবম গ্রেডের। খুব কমসংখ্যক কর্মচারীরই ২০তম গ্রেডে চাকরিতে যোগ দিয়ে চাকরিজীবনে নবম গ্রেডে উন্নীত হতে পারেন। তবে একলাফে নবম গ্রেডে পদোন্নতির নজির নেই। সম্প্রতি নজিরবিহীন পদোন্নতির এ ঘটনা ঘটেছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনে (পেট্রোবাংলা)।
১৫ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটি ৫ কর্মচারীকে নিরাপত্তা সহকারী ও অফিস সহায়ক পদ থেকে সরাসরি সহকারী ব্যবস্থাপক পদে পদোন্নতি দিয়েছে।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। এরপর থেকেই সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পদোন্নতির দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছেন নিজেদের ‘বঞ্চিত’ দাবি করা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অনেকে আবার প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে চাপ দিয়ে জোর করে সই করাচ্ছেন পদোন্নতির চিঠি। এরই ধারাবাহিকতায় পেট্রোবাংলায়ও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) পদে পদোন্নতি পেয়েছেন খন্দকার সাবিউন নাহার নামের এক কর্মচারী, যিনি মূলত একজন অফিস সহায়ক ছিলেন। একইভাবে সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) পদে পদোন্নতি পেয়েছেন ক্রয় সহকারী মো. সেলিম। মো. আবু তাহের তালুকদার ছিলেন সাঁটলিপিকার। তাঁকেও করা হয়েছে সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন)। একই পদে পদোন্নতি পেয়েছেন ভান্ডার সহকারী বেগম আয়েশা আক্তার খাতুন এবং নিরাপত্তা সহকারী মো. গিয়াসউদ্দিনও।