বর্ষা মৌসুমের পর শরতে এসে চলমান যে বন্যায় দেশের অন্তত ১১টি জেলা ভয়াবহভাবে বিপর্যস্ত, আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভাষায় এটি ছিল ‘আকস্মিক বন্যা’।
এ ধরনের বন্যায় সাধারণত একদম কম সময়ের মধ্যে বিস্তীর্ণ এলাকা ভেসে যায়, আবার সেই পানি নেমেও যায় খুব দ্রুত।
তবে এবারের ‘আকস্মিক বন্যা’ দেখাচ্ছে ভিন্ন রূপ। প্রায় এক সপ্তাহ আগে ফেনীসহ দেশের যে জেলাগুলো প্লাবিত হয়েছে, সেখান থেকে এখনও পানি নামছে না; কোথাও নাম শুরু হলেও তাতে রয়েছে ধীর গতি।
রোববার পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতি প্রায় একই রকম থাকার পরিপ্রেক্ষিতে পানি নামার ধীরগতির বিষয়ে আবহাওয়াবিদ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানা যাচ্ছে, মূলত চারটি কারণে এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে।
তাদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, সীমান্তের দুই পাশে চট্টগ্রাম বিভাগ ও ভারতের ত্রিপুরায় একই সময়ে অতিভারী বৃষ্টিপাত, পাহাড় থেকে নেমে আসা হড়কা বান, সাগরে জোয়ারের স্থিতি এবং বন্যার মধ্যে বৃষ্টি অব্যাহত থাকার ঘটনাগুলো বন্যার পানি ধীরে নামার কারণ।