"চাইরদিক দি গাছ-গাছরা নষ্ট হইছে, আর আমরা হানিত বাইতেয়াছি। খামু কইত্তুন, বাঁচুম কেমনে? বাড়িত চাইলও নাই।"
বন্যায় তারা কেমন আছেন সেটা এই এক বাক্যেই বুঝিয়ে দিলেন ষাটোর্ধ হোসনে আরা বেগম। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের এই বাসিন্দার ঘরে হাঁটু পানি।
দিনভর টানা বৃষ্টির প্রকোপে পানি আরও বাড়তে থাকায় দুই ছেলে, তাদের স্ত্রী ও চার নাতি-নাতনিদের রেখে এসেছেন প্রতিবেশীর দোতলা পাকা বাড়িতে।
চারিদিকে পানির মধ্যে তারা কোনো রকমে টিকে থাকার বর্ণনা দিয়ে তিনি যা বলছিলেন সেটির মানে দাঁড়ায়, চারিদিকে গাছপালা নষ্ট হচ্ছে। তারা পানির মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছেন। বাড়িতে চাল না থাকায় তারা খাবেন কি, টিকেইবা থাকবেন কীভাবে?
ঘরে রান্না নেই, তবুও নিজের ভিটায় মায়ায় থেকে যাওয়া এই বৃদ্ধা বলেন, "এই ঘরে বই রইছি কোনমতে। ইট হাতখানার হরে চকি তুইলছি। (এই ঘরে বসে আছি কোনো রকম। নিচে ইট দিয়ে চকি উঁচু করছি।)
"এন আর চিন্তা বেশি, ঘরও এই ফিলে, এহন ইগুন লই কষ্ট করি আরি। কিত্তাম কন? সবার বাড়ি ডুবুইন্না। পানি বাড়তেছে।" (এ নিয়েই আমার চিন্তা বেশি। এদিকেই আমার ঘর, এখানে থেকেই কষ্ট করছি। কী আর করব বলেন, সবার বাড়ি ডুবে আছে-পানিও বাড়ছে।)