সচিবালয় এলাকায় আন্দোলনরত অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের সঙ্গে কয়েক দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পালটা ধাওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের। এতে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর একটি জিপ ও ডিপিডিসির দুটি গাড়ি ভাঙচুর করেন আনসার সদস্যরা। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকলে আনসার সদস্যরা পিছু হটেন এবং পালিয়ে যান।
রোববার (২৫ আগস্ট) রাত ৯টা ২০ মিনিটে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত। এরপর কয়েক দফায় চলতে থাকে সংঘর্ষ। সরেজমিনে সচিবালয় এলাকার তিন নম্বর গেটের সামনে গিয়ে দেখা যায়, গেটের সামনে ডানপাশে সেনাবাহিনীর একটি জিপের সামনের কাচ ভেঙে ফেলেছেন আনসার সদস্যরা। এ ছাড়া গেট বরাবর সামনে একটি একটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর এবং এই কারের চালককে ব্যাপক মারধর করেছেন তাঁরা।
হামলার শিকার গাড়ি চালক আবু বক্কর বলেন, ‘সকাল থেকেই আনসারদের কারণে আমার গাড়ি সরাতে পারছিলাম না। রাত সাড়ে ৯টার পরে তারা ভাঙচুর শুরু করে। তখন আমার গাড়ি ভাঙে। আমাকে গাড়ি থেকে বের করে বেধড়ক মারে। গায়ের গেঞ্জি ছিঁড়ে গেছে। এই গাড়িটা ডিপিডিসির কর্মকর্তার।’
সচিবালয়ের সঙ্গেই ডিপিডিসি ভবনের নিরাপত্তার রক্ষী শামিম মিয়া বলেন, ‘আনসার আর ছাত্ররা যখন মুখোমুখি তখন আনসাররা খুব মারমুখী আচরণ করে। চারপাশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ছাত্ররা আসার পরে আনসাররা তাদের কয়েকজনকে পেটায়। শুনেছি পঁচিশজন ছাত্র আহত হয়ে মেডিকেলে গেছে। একপর্যায়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কয়েকটা সাউন্ড গ্রেনেড মারে। তখন আনসার সদস্যরা ভয় পায়। পালিয়ে যেতে থাকে। এই সময় ছাত্ররা তাদের নিরাপদে বের হয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে এবং প্রেসক্লাব গেট দিয়ে তাদের বের হয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়।’