ঋতুবৈচিত্র্যের দেশ বাংলাদেশ। ঋতুবৈচিত্র্যের সঙ্গে আসে খাদ্যের বৈচিত্র্য। ভিন্ন ঋতুতে আমরা ভিন্ন ফলমূল ও সবজি পেয়ে থাকি। পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে খাদ্যের বৈচিত্র্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। গ্রীষ্মকালে আম, কাঁঠাল, লিচুর মতো রসালো মিষ্টি ফলের সমাহার থাকে। আরও থাকে লাউ, পটোল, ঝিঙে, চিচিঙ্গার মতো সবজি। আবার বর্ষায় তাল, গাব, আমড়ার মতো ফল পাওয়া যায়। শীতে খেজুর রসের পিঠা–পায়েসের বাইরে বিভিন্ন রকম রঙিন শাকসবজির সমাহার ঘটে। শীতকালীন শাকসবজির মধ্যে পালং শাক, ফুলকপি, বাধাকপি, ব্রকলি, টমেটো অন্যতম।
কিন্তু আজকাল পালংশাক, ফুলকপি, বাধাকপি, ব্রকলি, টমেটোর মতো সবজিগুলো গ্রীষ্মকালসহ সারা বছরই পাওয়া যায়। মৌসুমের বাইরে বলে এসব সবজির দাম থাকে অনেক ঊর্ধ্বমুখী। গ্রীষ্মে শীতকালীন যেসব সবজি পাওয়া যায়, সেগুলো শীতের সময় উৎপাদিত শাকসবজির মতো পুষ্টিগুণের হয় না, পুষ্টিগুণ থাকে অনেক কম।