গত ৬ ও ৭ আগস্ট ব্যারিস্টার আহমেদ বিন কাসেম আরমান, সাবেক সেনা অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী এবং ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) নেতা মাইকেল চাকমা কথিত গোপন বন্দিশালা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর দেশে গুম-খুনের বিষয়টি আবার সামনে আসে। রাষ্ট্রীয় গুমের শিকার হওয়া ইউপিডিএফের সংগঠক মাইকেল চাকমা দীর্ঘ পাঁচ বছর তিন মাস এবং ব্যারিস্টার আহমেদ বিন কাসেম আরমান ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী দীর্ঘ আট বছর পর অবরুদ্ধ দশা থেকে মুক্তি পান।
‘মানবতাবিরোধী’, ‘সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী’ কার্যকলাপে ‘জড়িত’-এ অজুহাতে তাদের বিনা বিচারে তথাকথিত বন্দিশালায় আটক রাখা হয়েছিল। আটক ব্যক্তিরা বিনা বিচারে কদর্য অবস্থায় বন্দিদশা কাটিয়েছেন বলে তাদের বক্তব্যে উঠে এসেছে। এভাবে কাউকে বিনা বিচারে দীর্ঘদিন আটক রাখা একই সঙ্গে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইনসহ মনবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং মানবতার পরিপন্থি।