ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশে এখন গ্রীষ্মের প্রভাবই বেশি। বছরের বেশিরভাগ সময়ই তীব্র গরমে কষ্ট করতে হয় মানুষকে। এর মধ্যে প্রায়শই দাবদাহে হাঁসফাঁস অবস্থা হয়ে যায় মানুষের। তবে গবেষণা বলছে, দাবদাহে তাপমাত্রাই একমাত্র স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ নয়। দাবদাহের সঙ্গে আরও নানা কারণ বাড়িয়ে তুলতে পারে মৃত্যুঝুঁকি। ডয়চে ভেলে তাদের এক প্রতিবেদনে দিচ্ছে এমন তথ্য।
গবেষকরা বলছেন, দাবদাহ মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে। তবে শুধু উচ্চ তাপমাত্রাই নয়, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক বিষয়াদিও মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর দাবদাহের প্রভাব বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে জানান মাদ্রিদের কার্লোস ৩ হেলথ ইনস্টিটিউটের গবেষক জুলিও ডিয়াজ।
এই গবেষকের মতে, মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর দাবদাহের প্রভাব শুধু উচ্চ তাপমাত্রাতেই সীমাবদ্ধ নয়। এর প্রভাব বোঝা যেতে পারে মানুষের আয়ু, বয়স, সামাজিক-অর্থনৈতিক অবস্থা, স্বাস্থ্যসেবা এবং গরমের সময়ে বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষ কীভাবে জীবনযাপন করছে তার ওপর।
গবেষণায় স্পেনে দাবদাহের প্রভাব ব্যাখ্যা করে এই গবেষক বলেন, ‘আমরা স্পেনকে ১৮২ অঞ্চলে ভাগ করে দেখেছি— তাপমাত্রা কতে ডিগ্রি হলে মানুষ মারা যায়। আমরা দেখলাম, সোভিয়েতে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রাকে দাবদাহ বলা যাচ্ছে না। আবার উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় কোরুনাতে ২৬ ডিগ্রি তাপমাত্রাই দাবদাহ।’