প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পর খুলছে স্কুল। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রিয়জন হারানোর বেদনা আছে কারও কারও। তরুণদের সঙ্গে মাঠে ছিল কিছু স্কুলশিশুও। একটা অস্থির সময়ের পর নতুন করে স্কুলে যেতে কারও মধ্যে তৈরি হতে পারে জড়তা; ভয় আর অনিশ্চয়তার রেশও তো কাটেনি। তাই এসব শিশুর হতে পারে ঘুমের সমস্যা, খিটখিটে মেজাজ, নিজেকে গুটিয়ে রাখার প্রবণতা, শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা আর মনোযোগহীনতা। দুঃসহ স্মৃতির প্রভাবে ভবিষ্যতে কারও কারও দেখা দিতে পারে পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার (পিটিএসডি)।
এ সময় স্কুলশিক্ষার্থীদের মনের যত্ন নেওয়া খুব জরুরি। শিক্ষক ও অভিভাবকেরা এ জন্য যা করতে পারেন:
● কোনো শিক্ষার্থী যদি কাছের স্বজন বা সহপাঠী হারিয়ে থাকে, তবে তাকে শোক প্রকাশের সুযোগ দিন এবং স্কুলে বিষয়টিকে মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিন।
● ক্লাস আনন্দময় করে তুলতে হবে। পড়ার চাপ না দিয়ে ধীরে ধীরে শিশুকে পড়ায় ফিরিয়ে আনতে হবে।
● শিশুর সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে পারস্পরিক যোগাযোগ উৎসাহিত করুন।