অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সালেহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি ২০০৫ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন।
এর আগে বাংলাদেশ সরকারের নানা প্রশাসনিক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছে তিনি।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তবর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন আপনি। এই সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। আপনারা মৌলিক বা বড় কোনো সংস্কারে হাতে দেবেন কি?
সালেহউদ্দিন আহমেদ: এতদিন অনেক রকমের অনিয়ম হয়েছে। উন্নয়নের নামে অনিয়ম হয়েছে, প্রশাসনেও হয়েছে। আমাদের প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে এই অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার চেষ্টা করা। বিভিন্ন কারণে অর্থনীতির চাকা বেশ মন্থর হয়ে গেছে। এর পেছনে কিছু বৈশ্বিক কারণ আছে, আবার কিছু অভ্যন্তরীণ কারণ আছে। আমি মনে করি বেশিরভাগহ কারণ অভ্যন্তরীণ। তা না হলে তো সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকত। করোনা হয়েছিল, এরপর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় নানান টানাপোড়েন ছিল। আমাদের যে অর্থনৈতিক সমস্যা আছে, তার মধ্যে মূল্যস্ফীতি একটি বিরাট সমস্যা। ব্যাংকিং খাতের সমস্যা ও সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, রাজস্ব আয়ের ব্যাপারে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে।
জ্বালানির ব্যাপারে কতগুলো সমস্যা আছে। এর সঙ্গে অর্থপাচার, দুর্নীতি আছে। আমাদের ইমিডিয়েট লক্ষ্যগুলো হলো- মূল্যস্ফীতি, কর-জিডিপি আয়, রিজার্ভ কমে যাওয়া, মুদ্রা বিনিময়ে টালমাটাল অবস্থা-এগুলো নিয়ে কাজ করা। এরসঙ্গে আমাদের দেশীয় শিল্প, আমদানি ও বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ে কাজ করতে হবে। ইতোমধ্যে আমরা কিছু ব্যবস্থা নিয়েছি।
যেমন: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর চলে যাওয়ার পর পদটি শূন্য ছিল। আমরা গভর্নর নিয়োগ দিয়েছি। দ্বিতীয়ত বিভিন্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিয়ে অনেক ইস্যু হলো, সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো- আর্থিক খাতে নিয়ম নীতিমালা পরিপালন করা হয়নি। সেগুলোর বেশিরভাগ বিশেষ ক্ষমতায় রহিত করা হয়েছে। যেমন সিঙ্গেল এক্সপোজার লিমিট না মেনে বহু টাকা নিয়ে গেছে। এগুলো এখন বন্ধ করা হয়েছে, গতকাল কয়েকটা প্রোপোজাল এসেছিল, কিন্তু বলেছি এগুলো দেওয়া যাবে না। অর্থাৎ আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা নিয়ে এসেছি।