ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নিরাপত্তাজনিত কারণে ১৮ জুলাই মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়। ইতোমধ্যে ৩০ দিন কেটে গেছে। কিন্তু মেট্রোরেল চালু করছে না কর্তৃপক্ষ। কবে চলবে তারও কোনো উত্তর দিতে পারছেন না তারা। বলছেন-দুর্বৃত্তদের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দুটি স্টেশন ছাড়া সবগুলো স্টেশন যাত্রী ওঠানামার জন্য প্রস্তুত। তবে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৬ দফা আদায়ের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন। এ কারণে মেট্রোরেল চলাচল শুরু করা যাচ্ছে না।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) দায়িত্বপ্রাপ্তরা এমন কথাই বলছেন। তারা বলেছেন, ১০ম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেশ কিছু দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে। তাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে এমন কথা বলা হয়েছে। তবুও তারা অফিস করছেন না। দাবি মেনে নেওয়ার অফিস আদেশ হওয়ার পর তারা কাজে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান যুগান্তরকে বলেন, আমি আগামীকাল (আজ) থেকে অফিস শুরু করব। এরপর মেট্রোরেল চালুর বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে মেট্রোরেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এমএএন ছিদ্দিক যুগান্তরকে বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি থেকে ফেরাতে ডিএমটিসিএলে’র একটি সভা করতে হবে। এটা কবে করা সম্ভব হবে তা বলতে পারছি না। তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিতে হলে ওই সভাটা দরকার। পরিবর্তিত সময়ে বেশকিছু পরিবর্তন হয়েছে। আমরা প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।