কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ এবং পরবর্তীকালে সরকার পতনের আন্দোলনকে ঘিরে সংঘর্ষ-সহিংসতায় আহত ব্যক্তিদের বিনা মূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এখনো যাঁরা হাসপাতালে আছেন, তাঁদের জন্য বিশেষ ইউনিট তৈরি করে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি সভায় এই বিশেষ ইউনিট করার সিদ্ধান্ত হয়।
যদিও আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার ব্যয় নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অনেকেই। তাঁদের পরিবারগুলো বলছে, অনেক ক্ষেত্রে বিনা মূল্যের ওষুধের বন্দোবস্ত হচ্ছে না। বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্যও ব্যয় হচ্ছে। একাধিক চিকিৎসক জানিয়েছেন, অনেকেই গুরুতর আহত। তাঁদের দীর্ঘ মেয়াদে চিকিৎসা দরকার।
সংঘাত-সহিংসতায় কত মানুষ আহত হয়েছেন, তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। স্বাস্থ্য বিভাগের ধারণা, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে পাঁচ শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত শুক্রবার পর্যন্ত রাজধানীর সাতটি সরকারি হাসপাতালে ৪৩৯ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। তাঁদের ১০ জনের পা কাটা গেছে, ১ জনের এক হাত কাটা গেছে। অনেকের হাতে, পায়ে বা শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর ক্ষত আছে। ৩২ জনের চোখে আছে ছররা গুলির আঘাত।