মৌসুমি জলবায়ুর কারণে এই অঞ্চলের বসতে জানালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আবহাওয়ার সঙ্গে সংগতি রেখে ভবন নির্মাণ এমনিতেই একটা বৈজ্ঞানিক যজ্ঞ। সিস্টেমটি তখনই কার্যকর হয়, যখন বসতে জানালার ব্যবহার হয় ঠিক ঠিক। পুরো বসতের নিশ্বাস–প্রশ্বাসে সাহায্য করে জানালা। এটি বাতাস ও আলো প্রবেশের প্রধান মাধ্যম। বাতাসের প্রবাহ সব কটা ঘরকে রাখে ঝকঝকে, দূর করে স্যাঁতসেঁতে ভাব।
ইতিহাসের বিভিন্ন পর্বে ভিন্ন ভিন্ন বসত নির্মাণের শৈলী দেখা যায়। তার সঙ্গে ঘটেছে জানালারও রূপান্তর। প্রাচীনকালে যাকে আমরা চৈতা বলতাম, সেটাও আসলে জানালা, আরও নির্দিষ্ট করে বললে পুবের জানালা। সেই জানালা গলে ঘরে প্রথম প্রবেশ করত পুবের আলো, তৈরি হতো নাটকীয় আবহ। বৌদ্ধবিহার থেকে শুরু করে সুলতানি আমলের টেরাকোটার মসজিদে ছোট জানালা, মোগল স্থাপনার জালি জানালা, ব্রিটিশ আমলের খড়খড়ি জানালা—এসবই আমাদের মনে করিয়ে দেয় জানালার সমৃদ্ধ ইতিহাস।