আগুন লাগার খবর পেয়েই আমাদের কেয়ারটেকার মিজান ধানমন্ডির এক প্রান্ত থেকে দৌড়ে ৩২ নম্বর রোডে পৌঁছে গেল। মিজান জানত আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ইতিহাসের আর্কাইভ নিয়ে। এ কারণে সে দ্রুত ওই বাড়ির ভেতরে ঢুকে কয়েক টুকরা কাগজ উদ্ধার করল।
কিছুটা উত্তেজিত হয়ে ফোন করে বলল, বঙ্গবন্ধুর হাতে লেখা কিছু চিঠি সে রক্ষা করেছে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপে অনেকগুলো ছবি চলে এল। খানিকক্ষণ দেখার পর আমি তাকে ফোন করে জানালাম, সে মরীচিকার খোঁজে নিরাপত্তার ঝুঁকি নিয়েছে।
সুন্দর হস্তাক্ষরে পাঁচটি চিঠি, কিন্তু সইয়ের নিচের তারিখ লেখা ১৯৯২ সালের। তাণ্ডবের দৃশ্যপটে মিজান আসলে প্রশাসনিক অফিসে ঢুকে পড়েছিল। বাড়িটির ভেতরের আসল জাদুঘরটি ইতিমধ্যেই পুড়ে ছাই। বাংলাদেশের ঐতিহাসিক একটি সময়ের প্রতিটি চিহ্ন ধ্বংস হয়ে গেছে।