এটা একটা মধুর উপহাসই বটে যে নাগরিক সমাজের একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্বকে আহ্বান করা হয়েছে একটি সংকটাপন্ন রাষ্ট্রের আপাতবহিরাবরণ হওয়ার জন্য। বাংলাদেশ রাষ্ট্র, এর সেনাবাহিনী এবং ক্ষমতাবান অভিজাতদের কাছে আর কোনো বিকল্প ছিল না শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী ও নাগরিক সমাজের শ্রদ্ধাভাজন নেতা মুহাম্মদ ইউনূসকে অনুরোধ করা ছাড়া; যেন তিনি বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনেন।
এর মধ্যে একটি বার্তা আছে। আর তা হলো যখন সরকার গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলে, তখন রাষ্ট্রকে সবার আগে নাগরিক সমাজের দিকে ফিরতে হয় তার বৈধতা ও কর্তৃত্ব বজায় রাখতে।
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ববাদী শাসনের সমাপ্তি ঘটিয়ে ঢাকা থেকে পালিয়ে আসায় নয়াদিল্লি থেকে তড়িঘড়ি করে ক্রমাগত যেসব মন্তব্য করা হচ্ছে, তাতে অনেকেই জানতে চাইছেন যে এতে ভারতের দিক থেকে ‘গোয়েন্দা ব্যর্থতা’ ছিল কি না।