শুধু লেখক বা কবি-সাহিত্যিকই নয়, সমাজের প্রত্যেক মানুষেরই কথা বলার স্বাধীনতা থাকতে হবে। সর্বস্তরের মানুষের বক্তব্য সব রাজনৈতিক সংগঠন এবং সরকারকে শুনতে হবে। আমাদের তো অনেক স্বপ্ন ছিল, অনেক আশা ছিল। দেশে গণতন্ত্র থাকবে, স্বাধীনতা থাকবে, সুখ থাকবে, বিশুদ্ধ সংস্কৃতি থাকবে, ন্যায়বিচার থাকবে, অধিকার থাকবে, মানবাধিকার থাকবে, সৃজনশীলতা থাকবে, থাকবে বাক্স্বাধীনতা। রাষ্ট্র খাদ্য, আশ্রয়, শিক্ষা, চিকিৎসা, বস্ত্র, বিনোদনের ব্যবস্থা করবে। কোনো বৈষম্য থাকবে না।
আজ আমাদের প্রকৃত স্বাধীনতার অধিকার কোথায়? মুক্তচিন্তা, প্রগতিশীলতা, যুক্তিশীলতা কেন পদদলিত হচ্ছে পদে পদে? প্রতিহিংসা, পীড়ন, মিথ্যাচার, প্রতিশোধ, দমন, দখল, হিংসা কেন আমাদের কুরে কুরে খাচ্ছে, কেন এসব অনুষঙ্গ হচ্ছে নিত্যঘটনা? কেন কারাগার বাড়ছে, বিচারালয় বাড়ছে, বিচারহীনতা বাড়ছে, ক্ষমতার শাসন বাড়ছে, মানবতা কমছে, দেশ কেন বন্দিশিবির হচ্ছে? কথা বললেই বিদ্রোহ বানানো, বিদ্রোহী বলা কি আইনে পরিণত হয়েছে? মানুষের জন্য কি ভালো কিছু নেই? আলোচনা নেই, সহনশীলতা নেই। সুখবর নেই। বড় বড় প্রকল্পই কি উন্নয়ন, বড় বড় প্রকল্পই কি সুখ, শান্তি, গণতন্ত্র, মানবতা, মুক্তিচিন্তার কথা বলে?