কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রাজধানী ঢাকার জনপ্রিয় গণপরিবহন মেট্রোরেলের কোচ, লাইন ও সংকেত ব্যবস্থার কোনো ক্ষতি হয়নি। মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনের টিকিট বিক্রি ও যাত্রীদের ভাড়া আদায়সংক্রান্ত ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই দুটি স্টেশন বাদ দিয়ে বাকি ১৪টি স্টেশনের মধ্যে মেট্রোরেল যেকোনো সময় চালু করা সম্ভব।
ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। সংস্থাটির সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন ছাড়া বাকি স্টেশনে যাত্রী ওঠানামা, টিকিট বিক্রি কিংবা স্বয়ংক্রিয় ভাড়া কেটে রাখার ব্যবস্থা পুরোপুরি অক্ষত আছে। ফলে চাইলে যেকোনো সময় উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু করা সম্ভব। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন সরকারে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব কোনো উপদেষ্টাকে দেওয়া হয়নি। তারা উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত পেলেই মেট্রোরেল চালু করবে। আগামীকাল রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অফিস করলে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব এই বিষয়ে নির্দেশনা চাইতে পারেন।