গোদ বা ফাইলেরিয়াসিস একধরনের পরজীবীর সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। কিউলেক্স মশার কামড়ের মাধ্যমে এই জীবাণু মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। শরীরে ঢুকে মানুষের লিমফেটিক সিস্টেমকে আক্রমণ করে। ফলে লসিকারস ঠিকভাবে প্রবাহিত না হতে পেরে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে জমতে শুরু করে। এভাবে অঙ্গটি ধীরে ধীরে ফুলে মোটা হতে থাকে। একই সঙ্গে অঙ্গটির ত্বকের নিচে টিস্যুর ক্ষতি করে। মশা এই রোগের জীবাণু বহন করে। কিউলেক্স ছাড়া অ্যানোফিলিস বা এডিস মশার কামড়েও গোদ রোগ হতে পারে।
রোগের লক্ষণ কী
অনেক ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে তেমন কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। রক্তে পরজীবীর সংখ্যাধিক্য হয়ে প্লীহা আক্রান্ত হলে রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। প্রথমে অল্পমাত্রার জ্বর থাকে, সঙ্গে লিম্ফনোড বা নালিতে ব্যথা হয়, ফুলে যায় এবং ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। সাধারণত পা, হাত, অন্ডকোষসহ শরীরের অন্যান্য স্থান আক্রান্ত হয়। পা বা হাত অনেক সময় ছোটখাটো হাতির পায়ের মতো বিশাল হয়ে যায়, হাতির চামড়ার মতো চামড়া ভারী, মোটা, কুঁচকানো ও কালো হয়ে যায় বলে একে এলিফ্যানটিয়াসিসও বলা হয়।