সহিংসতা, অবরোধ ও হরতাল হলেই এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয় চারদিকে। বৃহত্তর অর্থনীতিতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে, যার ক্ষতিপূরণ দিতে হয় পুরো জাতিকে। স্বাভাবিকভাবেই অর্থনীতির চাকা বন্ধ হলে ক্ষতির অঙ্কও বাড়তে থাকে কেননা তা পুরোপুরি চালু করতে বেশ সময় লাগে। ফলে সবকিছু স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণও বাড়তে থাকে।
এতে ব্যবসায়ী কিংবা উদ্যোক্তাদের ক্ষতি তো হয়ই, সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে যারা দিন আনে দিন খায়, তাদের সংকট প্রবল হয়ে পড়ে। এটা সবারই জানা যে, করোনার পর থেকে দেশের অর্থনীতি এমনিতেই বহুমুখী চ্যালেঞ্জের ভেতর দিয়ে এগোচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক মন্দা এ চ্যালেঞ্জ আরও বাড়িয়েছে। তার ওপর সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে যে অস্থিরতা তাতে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ আরও বেড়েছে।