কোনো বিষধর প্রাণীর কামড়ে শরীরে যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তার যথার্থ চিকিৎসা হলো অ্যান্টিভেনাম। এটিই বিষক্রিয়া থেকে নিস্তার পাওয়ার একমাত্র বৈজ্ঞানিক উপায়, যা ইনজেকশন আকারে গ্রহণ করতে হয়। জেলা পর্যায়ে অ্যান্টিভেনামের সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও কেন বিষধর সাপের কামড়ে মানুষ মারা যায়, জানেন? বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রোগীকে ওঝার কাছে নিয়ে ঝাড়ফুঁক ও অপচিকিৎসা করতে গিয়ে দেরি করা হলো মৃত্যুর প্রধানতম কারণ। অ্যান্টিভেনাম দিতে এ জন্য দেরি করা যাবে না। সঠিক সময়ে অ্যান্টিভেনাম দেওয়া হলে বেঁচে যায় প্রাণ।
অ্যান্টিভেনাম বিষকে প্রতিহত করে কিন্তু ততক্ষণে ক্ষতি যতটা হয়ে গেছে, তা ঠিক করতে পারে না। তাই অকারণ কালক্ষেপণ মানেই ঝুঁকি বাড়তে দেওয়া। যে প্রাণীটি দংশন করেছে, সেটি যদি বিষধর বলে পরিচিত হয়ে থাকে অথবা যদি বিষক্রিয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যায়, তখন সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টিভেনাম ইনজেকশন দিয়ে দিতে হবে। কোন প্রজাতির প্রাণী দংশন করেছে, জানতে পারলে ভালো হয়। তবে সেই প্রাণীটিকে ধরে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। বিষধর প্রাণী ধরতে গেলে অন্য ব্যক্তিও দংশনের শিকার হতে পারে। সম্ভব হলে প্রাণীটির ছবি তুলে আনা যেতে পারে।