বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলন কেন্দ্র করে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা সংঘাত, ইন্টারনেট না থাকা ও কারফিউর কারণে অচল ছিল অর্থনৈতিক খাতের বড় অংশ। কারফিউ জারি হলে বন্ধ হয়ে যায় পোশাক কারখানাগুলোও। ইন্টারনেট সংযোগ না থাকার কারণে সংকটে পড়ে এ খাত। বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৫ শতাংশ আসে এই খাত থেকে।
চলমান সংঘর্ষের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে আসলে গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর নেতারা। তারা অবিলম্বে ইন্টারনেট সংযোগ এবং গার্মেন্টসগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২৪শে জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এবং ২৮শে জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ চালু করা হয়। পরে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু হয়।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, কোম্পানিগুলো তাদের উৎপাদন ইউনিট খোলা রাখলেও ইন্টারনেটের অভাবে ব্যবসা কার্যত থেমে ছিল। এছাড়া সরবরাহ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। শিপমেন্ট জমে গেছে, কারণ সময়মতো পণ্য সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি।