কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চারদিকে সহিংসতা আর কারফিউয়ের মধ্যে টানা কয়েকদিন রাজধানীর আব্দুল্লাহপুরের বাসায় বন্দি থেকে অস্থির হয়ে উঠেছিল আট বছরের ছেলেটি। তাই ছেলের বায়না পূরণ করতে ২১ জুলাই বিকালে সংঘর্ষ এড়িয়ে নিরিবিলিতে একটু সময়ের জন্য ঘুরতে বেরিয়েছিলেন আবু বকর সিদ্দিক শিবলু।
সেটাই কাল হল। বাসার কাছে কোটবাড়ি রেললাইনের উপরে বাবা-ছেলে বসে গল্প করছিলেন। সেই অবস্থাতেই মাথায় এসে গুলি লাগলে লুটিয়ে পড়েন শিবলু। ছেলে ফারহান সিদ্দিক দৌড়ে এসে কাঁদতে কাঁদতে মাকে বলে, “মা, বাবা গুলি খেয়েছে।”
এলিট পেইন্টের সহকারী হিসাবরক্ষক শিবলু (৩৬) আগারগাঁও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ২৪ জুলাই মারা যান।